বৃহস্পতিবার - দুপুর ১:৫০

মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত মামলা বাতিল হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত মামলা বাতিল হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

ঢাকা, ০৭ নভেম্বর ২০২৪ (দৈরাস):
বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। উপদেষ্টা পরিষদের ১২তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সস্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এর আগে সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হওয়ার পর এ সংক্রান্ত মামলাগুলোর কী হবে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, বিগত সময়ে নানা কালো আইন দিয়ে মানুষের মত প্রকাশের পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। যেমন কোন ব্যক্তি বা প্রভাবশালী গোষ্ঠীকে নিয়ে আপনি কিছু লিখেছেন, সেজন্য আপনার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা হয়েছে এবং সাত বছরের সাজা হয়ে গেছে। এসব মামলা বাতিল করা হবে। অর্থাৎ মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত যেসব মামলা রয়েছে সেগুলো বাতিল করা হবে। অন্যান্য মামলা যেমন পর্নোগ্রাফি, মেয়েদের নিরাপত্তা ঝুকিতে ফেলা হয়েছে এসব মামলা আইন অনুযায়ী চলবে।

শফিকুল আলম জানান, গত বছর পতিত স্বৈরাচার সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে নতুন বোতলে এনে নাম দিয়েছিল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট। কিন্তু, উদ্দেশ্য ছিল একই। উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কণ্ঠরোধ করা, দমানো। এই অ্যাক্টের মাধ্যমে কত মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে, এর বিশাল অংশ ছিল মাইনরিটি। তাদেরকে জেল দেয়া হয়েছে, হয়রানি করা হয়েছে। এজন্য কেবিনেটে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বাতিল করার।

তিনি বলেন, এটা বাতিল করার পরে একটা বিষয় তৈরি হয় সেটা হচ্ছে, সাইবার সিকিউটির একটা উল্লেখ যোগ্য জিনিস হচ্ছে আমরা যারা সাইবার সেফটির কথা বলি, আমরা প্রায় সবাই সেফটি বিশেষ করে মহিলাদের সেফটির কথা বলি। আমরা যারা ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি ব্যবহার করছি, অনেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেম ব্যবহার করেন। যেগুলোর মাধ্যমে সাইবার সমস্যা তৈরি বা হ্যাকিং হয়, এগুলো নিয়ে দ্রুত একটা আইন করা হবে। মূল ফোকাস থাকবে ফিন্যান্সিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচারে বিষয়, যাতে আমরা ফিনান্সিয়াল ঝুঁকি প্রটেক্ট করতে পারি।

Facebook Comments Box
Skip to content