ঢাকা, ০৭ অক্টোবর ২০২৪ (দৈজাস):
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে সারাদেশের পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এবারের দুর্গাপূজা ঘিরে ব্যাপক তৎপর রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আগামী ৯ অক্টোবর বুধবার মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে দুর্গোৎসব।
১৩ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচদিনব্যাপী এই উৎসবের শেষ হবে।
সরকারি হিসেবে, সারাদেশে এ বছর ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চ পর্যায় থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকে এবার সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থানে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে মাঠপর্যায়ে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি চলছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর। যে কোনো গুজব প্রতিরোধে নজর রাখা হচ্ছে সাইবার স্পেসেও।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যেকটি ইউনিটের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক যে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, দুর্গোৎসব ঘিরে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি বা হামলার তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তারপরও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন করতে শতভাগ নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে, শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ পূজারীগণকেও কিছু নিরাপত্তা পরামর্শ প্রদান করেছে।
সভাপতি বলেন, আইন-শঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আমরাও প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নিজস্ব নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি।
সরকারের পক্ষ থেকে সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা হয়েছে।
বাসুদেব ধর বলেন, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী এবারের দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এতে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্ণেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিবারের মতো এ বছরও সারাদেশে ৩২ হাজারেরও বেশি পূজামণ্ডপে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব।
তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে যে কোনো ধরনের নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে র্যাবের কুইক রেসপন্স টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে।
এছাড়াও নিরাপত্তায় থাকবে ডগস্কোয়াড।